ফরজ নামাজের পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল ( Doa and jikir after prayers)
প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের পর বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে সব দোয়া পড়তেন।
বিশ্বনবী (সঃ) প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর পঠিত দোয়াসমূহ তুলে ধরা হলো-
ফরজ নামাজের পর গুরুত্বপূর্ণ কিছু আমল
(১) রাসূলুল্লাহ (সঃ) প্রত্যেক ফরজ নামাজ শেষে ৩ বার "আসতাগফিরুল্লাহ্" বলতেন। ( - মুসলিম, ১২২২ )
(২) এরপর “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” – এটি পড়তেন । (- মুসলিম, ১২২১)
(৩) সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার) । আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার) । আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার) । (লা-ইলা-হা ইল্লাল্ল-হু ওয়াহদাহু লা- শারীকা-লাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা- কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর”) (১ বার) । এগুলো পাঠে গুনাহসমূহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো অসংখ্য হলেও ক্ষমা করে দেয়া হয়।)
(মুসলিম, ১২৪০)
(৪) আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারা আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া। ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়লে তার আর বেহেস্তের মধ্যে মৃত্যু ছাড়া আর কোনো দূরত্ব থাকেনা।
(নাসাঈ)
(৫) ﺃﻟﻠﻬﻢ ﺃﺟﺮﻧﻲ ﻣﻦ ﺍﻟﻨﺎﺭ “আল্লাহুম্মা আজিরনী মিনান নার” ৭ বার, ফজর ও মাগরিবের পর পড়তেন। সে দিন বা সে রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে রক্ষা করবেন।
(৬) সূরা ইখলাস, ফালাক্ব ও সূরা নাস, প্রত্যেকটি ৩ বার করে, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূল (সা.) বলেন, সকাল- সন্ধ্যায় এগুলো পাঠ করলে তোমার আর কিছুরই দরকার হবে না।
(৭) দরুদ শরীফ ১০ বার, ফজর ও মাগরিবের পর পড়তেন। কেয়ামতের দিন রাসূলের শাফা'আত লাভ করবে।
(৮) ﺭﺿﻴﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺭﺑﺎ ﻭﺑﺎﻹﺳﻼﻡ ﺩﻳﻨﺎ ﻭﺑﻤﺤﻤﺪ ﻧﺒﻴﺎ ("রাদ্বীতু বিল্লাহি রব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা") ৩ বার, ফজর ও মাগরিবের পর পড়তেন। রাসূলুল্লাহ (সঃ) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবেন।
(৯) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলবে,
« سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ ».
(সুব্হানাল্লা-হি ওয়াবিহামদিহী)
তার পাপসমূহ মুছে ফেলা হয়, যদিও তা সাগরের ফেনারাশির সমান হয়ে থাকে।
(বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৫; মুসলিম ৪/২০৭১, নং ২৬৯১)
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Visit - My School -
Post a Comment
0 Comments