Qurbani
১৪ হজ্জ ও কুরবানীর বিকল্পের নসীহত এক অসঙ্গত দাবী – আলী হাসান তৈয়ব
কোরবানি কার ওপর ওয়াজিব?
মুলত যাকাত যার উপরে ফরজ হয় কোরবানি তার উপর ওয়াজিব হয়। তবে কোরবানীক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
চার ধরনের সম্পদ ওয়ালার উপর যাকাত ফরজ হয়।
১) সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ থাকলে (শুধু স্বর্ণ অথবা কিছু স্বর্ণ, কিছু রুপা, টাকা পয়সা, ব্যবসায়িক মাল নিয়ে সাড়ে ৫২ তলা রুপার সমপরিমাণ টাকার সম্পদের মলিক হলে)
২) সাড়ে ৫২ তোলা রুপা থাকলে (শুধু রুপা অথবা কিছু রুপা, টাকা পয়সা, ব্যবসায়িক মাল নিয়ে সাড়ে ৫২ তলা রুপার সমপরিমাণ টাকার সম্পদের মলিক হলে)
৩) সাড়ে ৫২ তোলা রুপার মূল্যের সমপরিমাণ টাকা থাকলে
৪) সাড়ে ৫২ তলা রুপার সমপরিমাণ টাকার ব্যবসায়িক মাল থাকলে যাকাত ফরজ হয়। এই পরিমাণ সম্পদ বছরের শুরুতে আছে এবং বছরের শেষে থাকলে যাকাত ফরজ হয়।
আর এই পরিমাণ সম্পদ যদি ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের ভেতরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে; তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো- এগুলোর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া (টাকার অংকে প্রায় ৪২ হাজার টাকা ৮০০ টাকা হিসেবে) [বর্তমান বাজার মূল্য হিসাব করবেন]। ব্যবসায়িক ঋণ ছাড়া, পারিবারিক ব্যয় নির্বাহের জন্য ঋণ, ধার দেনা ব্যাতিরেকে নিসাব পরিমাণ সম্পদ।
Post a Comment
0 Comments