রমাদ্বান প্লান (Ramadan Plan)
আবু হুরায়রা (রা:) থেকে বর্ণিতঃ
রাসূল (সঃ) বলেন, আল্লাহ বলেনঃ আদম সন্তানের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য কেবল সাওম ছাড়া, কেননা নিশ্চয়ই তা আমারই জন্য আর আমিই এর প্রতিদান দিব।
সিয়াম পালনকারীর জন্য রয়েছে দুিট আনন্দ, একটি আনন্দ তার ইফতারের মহুূর্তে আর একটি আনন্দ তার রবের সাথে সাক্ষাতের মহুূর্তে তখন সে তার সিয়াম নিয়ে সন্তুুষ্ট হবে। [আল বখুারী]
সালাত (সুন্নাহ)
আয়েশা (রা:) বণর্না করেন যে রাসলূ বলেন, যে ব্যক্তি দিবারাত্রিতে ১২ রাক‘আত সালাত আদায় করে, তার জন্য জান্নাতে একটি গৃহ নির্মাণ করা হবে। যোহরের পূর্বে ৪, পরে ২, মাগরিবের পরে ২, এশার পরে ২ ও ফজরের পূর্বে ২ । [তিরমিযী]
সালাত (তারাবী)
যে ব্যক্তি রমাদ্বানের রাত্রিতে ঈমানের সাথে ও সওয়াবের আশায় রাত্রির সালাত আদায় করে, তার অতীতের সকল ̧নাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [আল বখুারী]
কুরআন তেলওয়াত
সালাতের সময়কে ঘিরে ইবাদতের বিভিন্ন কমর্সূিচ শিডিউল করুন, যেমন- প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর ২ পাতা করে কুরআন তিলাওয়াত করুন = ১ দিনে ১ পারা।
প্রতিদিনের চেকলিস্ট
সকাল-সন্ধ্যার যিকিরের জন্য আপনি হিসনুল মুসলিম বইটি অথবা অ্যাপ, উম্মাহ ওয়েলফেয়ার, ট্রাস্টের দৈনিক যিকির কিংবা কুরআন-সুন্নায় বর্ণিত অন্যান্য বই/অনলাইন রেফারেন্স পড়তে পারেন।
আল্লাহর কাছে সেই আমল সবচেয়ে প্রিয়, যা নিয়মিত করা হয় যদিও তা পরিমাণে কম হয়। [আল বখুারী]
আমলের কিছু বিষয় তুলে ধরা হলো -
☑️☑️ যিক্রের ফযীলত ও সকাল সন্ধ্যার যিকির
☑️ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যিকিরঃ
সালাম ফিরানোর পর যিকরসমূহ
أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ
(আস্তাগফিরুল্লা-হ)
আমি আল্লাহ্র নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
اَللّٰهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ، وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ
(আল্লা-হুম্মা আনতাস্ সালা-মু ওয়া মিনকাস্ সালা-মু তাবা-রক্তা ইয়া যালজালা-লি ওয়াল-ইকরা-ম)
হে আল্লাহ! আপনি শান্তিময়। আপনার নিকট থেকেই শান্তি বর্ষিত হয়। আপনি বরকতময়, হে মহিমাময় ও সম্মানের অধিকারী!
সুবহানাল্লাহ - আল্লাহর পবিত্রতা ঘোষণা করছি (৩৩ বার), আলহামদুলিল্লাহ - সকল প্রশংসা আল্লাহর (৩৩ বার), আল্লাহ আকবর - আল্লাহ সর্বশক্তমিান (৩৩ বার) পড়ুন।
তারপর বলবে,
لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ يُحْيِيْ وَيُمِيْتُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ
(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়ালাহুল হাম্দু ইয়ুহ্য়ী ওয়াইয়ূমীতু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর)
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই, রাজত্ব তারই এবং সকল প্রশংসা তাঁর। তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দান করেন। আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান
(যে ব্যক্তি প্রতি নামাযের পরে এটা বলবে, তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেওয়া হয়, যদিও তা সমুদ্রের ফেনারাশির মত হয়।)
আয়াতুল কুরসী (আল বাক্বরা, ২:২৫৫), আল ইখলাস (১ বার), আল ফালাক (১ বার), আন নাস (১ বার) পড়ুন । ফজর ও মাগরিব সালাতের পর ৩ বার পড়ুন।
আয়াতুল কুরসি: সূরা আল-বাকারাহ্ ২৫৫
أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْمِ
(আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম)
বিতাড়িত শয়তান থেকে আমি আল্লাহ্র আশ্রয় নিচ্ছি।
اَللّٰهُ لَاۤ اِلٰهَ اِلَّا هُوَ الۡحَـىُّ الۡقَيُّوۡمُ
(আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যূল কাইয়্যূমু)
আল্লাহ্, তিনি ছাড়া কোনো সত্য ইলাহ্ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, সর্বসত্তার ধারক।
لَا تَاۡخُذُهٗ سِنَةٌ وَّلَا نَوۡمٌ
(লা তা’খুযুহু সিনাতুঁও ওয়ালা নাউম।)
তাঁকে তন্দ্রাও স্পর্শ করতে পারে না, নিদ্রাও নয়।
لَهٗ مَا فِى السَّمٰوٰتِ وَمَا فِى الۡاَرۡضِ
(লাহূ মা-ফিসসামা-ওয়া-তি ওয়ামা ফিল আরদ্বি।)
আসমানসমূহে যা রয়েছে ও যমীনে যা রয়েছে সবই তাঁর।
مَنۡ ذَا الَّذِىۡ يَشۡفَعُ عِنۡدَهٗۤ اِلَّا بِاِذۡنِهٖ
(মান যাল্লাযী ইয়াশফা‘উ ‘ইনদাহূ ইল্লা বিইযনিহী।)
কে সে, যে তাঁর অনুমতি ব্যতীত তাঁর কাছে সুপারিশ করবে?
يَعۡلَمُ مَا بَيۡنَ اَيۡدِيۡهِمۡ وَمَا خَلۡفَهُمۡ
(ইয়া‘লামু মা বাইনা আইদীহিম ওয়ামা খালফাহুম।)
তাদের সামনে ও পিছনে যা কিছু আছে তা তিনি জানেন।
وَلَا يُحِيۡطُوۡنَ بِشَىۡءٍ مِّنۡ عِلۡمِهٖۤ اِلَّا بِمَا شَآءَ
(ওয়ালা ইয়ুহীতূনা বিশাইইম মিন্ ইলমিহী ইল্লা বিমা শাআ।)
আর যা তিনি ইচ্ছে করেন তা ছাড়া তাঁর জ্ঞানের কোনো কিছুকেই তারা পরিবেষ্টন করতে পারে না।
وَسِعَ كُرۡسِيُّهُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرۡضَ
(ওয়াসি‘আ কুরসিয়্যুহুস সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্ব।)
তাঁর ‘কুরসী’ আসমানসমূহ ও যমীনকে পরিব্যাপ্ত করে আছে;
وَلَا يَـــُٔوۡدُهٗ حِفۡظُهُمَا
(ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা)
আর এ দুটোর রক্ষণাবেক্ষণ তাঁর জন্য বোঝা হয় না।
وَهُوَ الۡعَلِىُّ الۡعَظِيۡمُ
(ওয়া হুয়াল ‘আলিয়্যূল ‘আযীম)
আর তিনি সুউচ্চ সুমহান।
সূরা আল-বাকারাহ্, ২৫৫। যে ব্যক্তি সকালে তা বলবে সে বিকাল হওয়া পর্যন্ত জিন শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে, আর যে ব্যক্তি বিকালে তা বলবে সে সকাল হওয়া পর্যন্ত জিন শয়তান থেকে আল্লাহর আশ্রয়ে থাকবে।
☑️ সকালের যিকিরঃ
☑️ সন্ধ্যার যিকিরঃ
☑️ মাঝে মাঝে সদয় কাজ করুনঃ (উদাহরণ) কারো সাথে হেসে কথা বলুন, কাউকে ক্ষমা করুন, সাক্ষাতে লোকদের সালাম দিন, গীবত থেকে বিরত থাকুন, আপনার লাঞ্চের টাকা কাউকে দান করুন, বিনয়ী আচরণ দিয়ে কাউকে মুগ্ধ করুন, আপনার রাগ এবং জিহবাকে নিয়ন্ত্রণ করুন, কারো সাথে একটি দু’আ শেয়ার করুন, কোনো ময়লা তুলুন এবং ডাস্টবিনে ফেলুন, আপনার পিতা-মাতা/পরিবারের অন্যান্য সদস্যদরে জন্য দু’আ করুন, পাখি কিংবা অন্যান্য কোন প্রাণীদরে কিছু খাবার বা পানি দিন, কাউকে তাদের ছোট ছোট কাজে সাহায্য করুন, কাউকে সুন্দর কিছু বলুন, কথা হয় না এমন কোনো আত্মীয়ের সাথে কিছুক্ষণের জন্য ফোনে কথা বলুন বা ম্যাসজে দনি, কাউকে ইফতার করানোর জন্য পানীয় সরবরাহ করুন কিংবা প্রস্তুত করুন।
☑️ ঘুমের পূর্বের যিকিরঃ
সুবহানাল্লাহ - আল্লাহর পবিত্রতা ঘোাষণা করছি (৩৩ বার), আলহামদুলিল্লাহ - সকল প্রশংসা আল্লাহর (৩৩ বার), আল্লাহ আকবর - আল্লাহ সর্বশক্তমিান (৩৪ বার) পড়ুন।
আয়াতুল কুরসী (আল বাক্বরা, ২:২৫৫), আল ইখলাস (৩ বার), আল ফালাক (৩ বার), আন নাস (৩ বার) পড়ুন ।
সুরা আল বাকারার ২৮৫-২৮৬ নং আয়াত পাঠ করুনঃ
রমাদ্বানের প্রতিদিনের আমল
☑️ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যিকির ☑️ সকালের যিকির ☑️ সন্ধ্যার যিকির ☑️ ঘুমের পূর্বের যিকির ☑️ কমপক্ষে ৭০ বার ইস্তগেফার করুন ☑️ শােকর করা: আলহামদুলল্লিাহ বলুন ☑️ দান-সদাকা করুন ☑️ মাঝে মাঝে সদয় কাজ করুন ☑️কুরআন তিলাওয়াত করুন।
☑️ দিনের কাজঃ যাদের সাথে ভুল হয়েছে তাদের কাছ থেকে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। যদি তা করতে না পারেন, তাহলে তাদের পক্ষে দান-সদাকা করুন এবং তাদের জন্য দু’আ করুন।
☑️ দিনের দু’আঃ
اَفَاَصۡفٰىکُمۡ رَبُّکُمۡ بِالۡبَنِیۡنَ وَ اتَّخَذَ مِنَ الۡمَلٰٓئِکَۃِ اِنَاثًا ؕ اِنَّکُمۡ لَتَقُوۡلُوۡنَ قَوۡلًا عَظِیۡمًا
উচ্চারণ : আফাআসফা-কুম রব্বাকুম বিলবানিনা ওয়াত্তাখজা মিনাল মালাইকাতি ইনা-ছান ইন্নাকুম লাতাকুলুনা কাওলান আজীমা।
হে আমার প্রতিপালক, আপনি আমাকে কল্যাণসহ প্রবেশ করান এবং কল্যাণসহ বের করুন। আর আপনার নিকট হতে আমাকে দান করুন সাহায্যকারী শক্তি [সুরা আল-ইসরা, ১৭:৪০]
☑️ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যিকির ☑️ সকালের যিকির ☑️ সন্ধ্যার যিকির ☑️ ঘুমের পূর্বের যিকির ☑️ কমপক্ষে ৭০ বার ইস্তগেফার করুন ☑️ শােকর করা: আলহামদুলল্লিাহ বলুন ☑️ দান-সদাকা করুন ☑️ মাঝে মাঝে সদয় কাজ করুন ☑️কুরআন তিলাওয়াত করুন।
☑️ দিনের কাজঃ কাউকে সালাম দিন এবং নম্রতা ও ভদ্রতার সাথে কথা বলুন। গীবত বা কারো সাথে ককর্শ ভাষা পরিহার করুন।
☑️ দিনের দু’আঃ
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ مُنْكَرَاتِ الأَخْلاَقِ وَالأَعْمَالِ وَالأَهْوَاءِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন মুনকারাতিল আখলাক্বি ওয়াল আ’মালি ওয়াল আহওয়ায়ি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার কাছে খারাপ চরিত্র, অন্যায় কাজ ও কুপ্রবৃত্তির অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাই।’ (তিরমিজি)
সুতরাং তথ্য প্রযুক্তিসহ দুনিয়ার যাবতীয় অশ্লীলতা থেকে মুক্ত থাকতে কুরআন-সুন্নাহর দিক-নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়া ও আমল অত্যন্ত জরুরি।
☑️ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যিকির ☑️ সকালের যিকির ☑️ সন্ধ্যার যিকির ☑️ ঘুমের পূর্বের যিকির ☑️ কমপক্ষে ৭০ বার ইস্তগেফার করুন ☑️ শােকর করা: আলহামদুলল্লিাহ বলুন ☑️ দান-সদাকা করুন ☑️ মাঝে মাঝে সদয় কাজ করুন ☑️কুরআন তিলাওয়াত করুন।
☑️ দিনের কাজঃ রাসূল (সা:)- এর জন্য দরুদ (দু’আ) পাঠ করুন যতবার সম্ভব এবং চেষ্টা করুন এটিকে আপনার প্রতিদিনের রুটিনে অন্তুর্ভুক্ত করতে । নবী (সা:) বলেন, যে আমার প্রতি একবার দরুদ (দু’আ) পেশ করে আল্লাহ তার উপর দশ বার রহমত বষর্ণ করেন । [আন-নাসাই]
☑️ দিনের দু’আঃ
শুকরিয়া জ্ঞাপন এবং কবুল আমলের প্রার্থনা [২৭:১৯]
رَبِّ اجۡعَلۡنِیۡ مُقِیۡمَ الصَّلٰوۃِ وَ مِنۡ ذُرِّیَّتِیۡ ٭ۖ رَبَّنَا وَ تَقَبَّلۡ دُعَآءِ
(রব্বিজ আলনী মুকীমাসসালা-তি ওয়ামিন যুররিয়াতি রব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দু'আই)
হে আমার রব, আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার সন্তানদের মধ্য থেকেও। হে পালনকর্তা, আপনি দু'আ কবলু করুন। [সরুা ইবরাহীম, ১৪:৪০]
☑️ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যিকির ☑️ সকালের যিকির ☑️ সন্ধ্যার যিকির ☑️ ঘুমের পূর্বের যিকির ☑️ কমপক্ষে ৭০ বার ইস্তগেফার করুন ☑️ শােকর করা: আলহামদুলল্লিাহ বলুন ☑️ দান-সদাকা করুন ☑️ মাঝে মাঝে সদয় কাজ করুন ☑️কুরআন তিলাওয়াত করুন।
☑️ দিনের কাজঃ ইসলাম, আল-কুরআন এবং সুন্নাহর উপর কোন তথ্য বা ভিডিও শেয়ার করুন যা দুনিয়া ও আখেরাতের জন্য কল্যাণ কর।
দিনের দু' আ শেয়ার করুন।
☑️ দিনের দু’আঃ
শুকরিয়া জ্ঞাপন এবং কবুল আমলের প্রার্থনা [২৭:১৯]
رَبِّ اَوۡزِعۡنِىۡۤ اَنۡ اَشۡكُرَ نِعۡمَتَكَ الَّتِىۡۤ اَنۡعَمۡتَ عَلَىَّ وَعَلٰى وَالِدَىَّ وَاَنۡ اَعۡمَلَ صَالِحًـا تَرۡضٰٮهُ وَاَدۡخِلۡنِىۡ بِرَحۡمَتِكَ فِىۡ عِبَادِكَ الصّٰلِحِيۡنَ
(রব্বি আওযি’নীয় আন্ আশ্কুরা নি’মাতাকাল্লা তীয় আন্‘আম্তা ‘আলাইয়্যা অ‘আলা- ওয়া-লিদাইয়্যা অআন্ আ’মালা ছোয়া-লিহান্ র্তাদ্বোয়া-হু অ আদ্খিল্নী বিরহমাতিকা ফী ‘ইবা-দিকাছ্ ছোয়া-লিহীন্।)
হে আমার রব, তুমি আমার প্রতি ও আমার পিতা-মাতার প্রতি যে অনুগ্রহ করেছ তার জন্য আমাকে তোমার শুকরিয়া আদায় করার তাওফীক দাও। আর আমি যাতে এমন সৎকাজ করতে পারি যা তুমি পছন্দ কর। আর তোমার অনুগ্রহে তুমি আমাকে তোমার সৎকর্মপরায়ণ বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত কর
☑️ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যিকির ☑️ সকালের যিকির ☑️ সন্ধ্যার যিকির ☑️ ঘুমের পূর্বের যিকির ☑️ কমপক্ষে ৭০ বার ইস্তগেফার করুন ☑️ শােকর করা: আলহামদুলল্লিাহ বলুন ☑️ দান-সদাকা করুন ☑️ মাঝে মাঝে সদয় কাজ করুন ☑️কুরআন তিলাওয়াত করুন।
☑️ দিনের কাজঃ ভদ্রতা ও উদারতা দিয়ে আপনার পিতা-মাতা/ স্বামী-স্ত্রী/ সন্তান/ ভাই-বোনদের মূল্যায়ন করুন। তাদের কোনো প্রয়োজনে সাহায্য করুন।তাদের জন্য ক্ষমা, রহমত বর্ষন এবং জান্নাতুল ফেরদাউসের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করুন।
☑️ দিনের দু’আঃ
اللهم اهدني لأحسن الأعمال أحسن الأخلاق لا يهدي لأحسنها إلا أنت وقني شيئ الأعمال وسيئ الأخلاق لا يقي سيئها إلا أنت
☑️ দিনের কাজঃ সিয়াম পালনকারী কিংবা খাদ্যের অভাবে আছে এমন কারো জন্য খাদ্য/পানীয় সরবরাহ করুন বা প্রস্তুত করুন। জাহান্নাম থেকে নিজেকে রক্ষা করুন একটি খেজুর দিয়ে হলেও। [মসুলিম]
☑️ দিনের দু’আঃ
☑️ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যিকির ☑️ সকালের যিকির ☑️ সন্ধ্যার যিকির ☑️ ঘুমের পূর্বের যিকির ☑️ কমপক্ষে ৭০ বার ইস্তগেফার করুন ☑️ শােকর করা: আলহামদুলল্লিাহ বলুন ☑️ দান-সদাকা করুন ☑️ মাঝে মাঝে সদয় কাজ করুন ☑️কুরআন তিলাওয়াত করুন।
☑️ দিনের কাজঃ প্রত্যেক সালাতের পর যে ব্যক্তি সবুহানাল্লাহ ৩৩ বার, আলহামদুলিল্লাহ ৩৩ বার, আল্লাহু আকবার ৩৩ বার এবং লা- লা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়া‘হদাহূলা- শারীকা লাহূলাহুল মলুকু ওয়া লাহুল ‘হামদুওয়া হুওয়া ‘আলা- কুল্লিশাই ইন ক্বদীর বলে ১০০ বার পর্ণূকরে তার পাপরাশি ক্ষমা করে দেয়া হয় যদিও তা সমুদ্রের ফেনা রাশির মত হয়। [মসুলিম]
☑️ দিনের দু’আঃ
কৃপণতা, কাপুরুষতা, বার্ধক্য এবং ফিতনা থেকে আশ্রয় চাওয়ার দোআ
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْبُخْلِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْجُبْنِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ أَنْ أُرَدَّ إِلَى أَرْذَلِ الْعُمُرِ، وَأَعُوْذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَعَذَابِ الْقَبْرِ
(আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল বুখলি, ওয়া ‘আউযু বিকা মিনাল জুবনি, ওয়া আ‘উযু বিকা মিন আন উরাদ্দা ইলা আরযালিল্ ‘উমুরি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন্ ফিতনাতিদ দুনইয়া ও আযা-বিল ক্বাবরি)
হে আল্লাহ, আমি আপনার আশ্রয় চাই কৃপণতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই কাপুরুষতা থেকে, আপনার আশ্রয় চাই চরম বাধর্ক্যে উপনীত হওয়া থেকে, আর আপনার আশ্রয় চাই দুিনয়ার ফিতনা ও কবরের আযাব থেকে।
[আল বখুারী]
☑️ প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর যিকির ☑️ সকালের যিকির ☑️ সন্ধ্যার যিকির ☑️ ঘুমের পূর্বের যিকির ☑️ কমপক্ষে ৭০ বার ইস্তগেফার করুন ☑️ শােকর করা: আলহামদুলল্লিাহ বলুন ☑️ দান-সদাকা করুন ☑️ মাঝে মাঝে সদয় কাজ করুন ☑️কুরআন তিলাওয়াত করুন।
☑️ দিনের হাদিসঃ যে ব্যক্তি প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে, আল্লাহ প্রত্যেক মুমিন নর-নারীর জন্য তাকে একটি করে সওয়াব দিবেন। [তাবারানী]
☑️ দিনের কাজঃ আল্লাহর সন্তুুষ্টির উদ্দেশ্যে সিয়াম পালন এবং সৎকাজ করার জন্য আমাদের নিয়তকে পরিশুদ্ধ করি এবং ১ বা ২ মিনিট নিই আল্লাহর কাছে সকল মুমিনের জন্য ক্ষমা প্রাথর্নার উদ্দেশ্যে।
☑️ দিনের দু’আঃ
رَبَّنَا اغۡفِرۡ لِیۡ وَ لِوَالِدَیَّ وَ لِلۡمُؤۡمِنِیۡنَ یَوۡمَ یَقُوۡمُ الۡحِسَابُ
(রব্বানাগফিরলী ওয়া লিওয়ালিদাইয়া ওয়ালিল মুমিনীনা ইয়াওমা ইয়াকুমুল হিছা-ব)
হে আমাদের রব, আমাকে, আমার পিতা-মাতাকে এবং সকল মুমিনকে হিসাব-নিকাশের দিন ক্ষমা করুন।
[ সুরা ইবরাহীম, ১৪:৪১ ]
--------------------------------------------
প্রতি রমজানের ধারাবাহিক দোয়া সমূহ পেতে পেইজটির সাথে থাকুন।
চলবে ---------------
☑️☑️ বিষয় ভিত্তিক ইসলামী গ্রন্থাবলী
☑️☑️ লেখক ভিত্তিক ইসলামী গ্রন্থাবলী
প্লে-স্টোর থেকে ডাউনলোড করুন -
Post a Comment
0 Comments